রোববার ০১ অক্টোবর ২০২৩

| ১৬ আশ্বিন ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৮:৫৩, ২৪ জুন ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

চট্টগ্রামে বেচাকেনা জমেনি, দরদামেই ব্যস্ত ক্রেতারা 

প্রকাশের সময়: ১৮:৫৩, ২৪ জুন ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

চট্টগ্রামে বেচাকেনা জমেনি, দরদামেই ব্যস্ত ক্রেতারা 

ছবি সংগৃহিত

আসেছ ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। বাকি আর মাত্র পাঁচদিন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য পশু এনেছেন বেপারীরা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসছে ট্রাকভর্তি করে পশু। তবে বেচা-কেনা এখনো জমে ওঠেনি। বেশিরভাগ ক্রেতা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।

বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেপারীরা এখন বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। ধীরে ধীরে বাজারের অবস্থা দেখে পশু কিনবেন তারা। কারণ শেষদিকে এসে অনেক সময় দাম কমে যায়। এজন্য অপেক্ষা করছেন তারা। 

আবার বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা এখনো পশু কেনা শুরু না করায় বাজারের প্রকৃত অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না। কোরবানির দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই বেচাকেনা জমে উঠতে থাকবে।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ২১২টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৫৭ ও অস্থায়ী ১৫৫টি। চট্টগ্রাম শহরে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট হচ্ছে সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। এছাড়া শহরে এবার ৭টি স্থানে অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে। এগুলো হলো, কর্ণফুলী অস্থায়ী পশু বাজার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের হোসেন আহম্মদপাড়া-সংলগ্ন টিএসপি মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় পোলের গোডাউনের মাঠ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডের সিডিএ মাটির মাঠ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামে এবার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি পশুর। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। এ হিসেবে এবার পশুর ঘাটতি রয়েছে ৩৭ হাজার ৫৪৮টির। বাকি পশু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে।

এদিকে শনিবার (২৪ জুন) সরেজমিনে নগরের কয়েকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, এখন বাজারে বেপারী থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। পশুর পাশে দাঁড়িয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর বাজার ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি বুঝছেন ক্রেতারা। সবমিলিয়ে দরকষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতারা।  

নগরের বিবির হাটে আসা ক্রেতা মিনহাজ কামাল জানান, গরু কিনতে এসেছিলাম। ছোট গরুর বেশি দাম। এখনো বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না। আনুমানিক দেড় মণ ওজনের একটি গরু লাখ টাকার ওপর দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আজকে দরদাম বুঝে গেলাম। কোরবানির দুয়েকদিন আগেই গরু কিনব।

খামারে আগেভাগে জমে উঠেছে বেচাকেনা

পশুর হাটে তেমন বেচাকেনা শুরু না হলেও আগেভাগে জমে উঠেছে খামারে। জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা ছোট-বড় খামারের পশু অনলাইনে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। এরপর সরেজমিনে কিংবা কেউ কেউ অনলাইনেই বেচা-কেনা সেরে ফেলছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে বাজারে ঘোরার ঝামেলা নেই। এছাড়া খামার থেকে কেনার আরেকটি সুবিধা হলো, পশু কোরবানির দিন ভোরে কিংবা আগের দিন বুঝে নেওয়া যায়। ফলে বাড়িতে কয়েকদিন পশুপালন নিয়েও আর চিন্তা করতে হয় না।

নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকার আলীম এগ্রো ফার্মের বদিউল আলম বলেন, খামারে কোরবানি উপলক্ষ্যে একশ'র মতো গরু পালন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।

এসএ