
ছবি সংগৃহিত
আমদানির খবরে কয়েকদিন স্থবির হয়ে পড়া দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজার চাঙা হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ বাজারে ঢোকায় দাম কমেছে দেশি পেঁয়াজের।
তার ওপর ট্রাকে পরিবহনকালে পচে গলে যাওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় রিকশাভ্যানে ভাসমান বিক্রেতা ও হোটেলগুলো দেদারসে কিনছেন পেঁয়াজ। তবে পাবনার বেপারিরা লোকসানে মাথায় হাত দিয়েছেন।
বুধবার (৭ জুন) খাতুনগঞ্জের চিত্র ছিল এমনটি।
পাবনা থেকে দুইদিন আগে এক গাড়ি পেঁয়াজ আনেন মো. বাচ্চু। মণ ৩৬০০ টাকা কেনা তার। খাতুনগঞ্জে পৌঁছাতে কেজিতে ৯২ টাকা পড়েছে। কিছু ৭০-৮০ বিক্রি হয়েছে। আজ দর হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। এবার কেজিতে ৪০ টাকা লোকসান। এক গাড়িতে ১৩ টন।
তিনি বলেন, এলসি আসবে আসবে বলে দেরিতে আসায় বেপারিরা গৃহস্থদের কাছ থেকে কিনেছে। এখন লোকসান হচ্ছে।
বেপারি মো. আবুল কালাম জানান, পাবনার বেড়া থেকে কিনেছি ৮৫ টাকা। গাড়িভাড়াসহ ৯০ টাকা। এখন খাতুনগঞ্জে ৪৮-৫২-৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা লোকসান। আমরা ধীরে ধীরে লাভ করেছি এখন একসঙ্গে সব লোকসান হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষক লাভবান হয়েছে। ২৬ বছর ব্যবসা করছি পেঁয়াজের। এতবড় লোকসানে পড়িনি।
একে ট্রেডার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজ দেখতে ভালো। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজ কম দাম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। আজ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি মানভেদে ৫০-৫৩ টাকা।
সৌমিক ট্রেডার্সে কিছু ভারতীয় পচা পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ে পাটের চটের বস্তায় ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, গত দুদিন আড়তে অলস সময় পার করছি। দেশিয় পেঁয়াজের দর দেওয়া আছে ঠিকই কিন্তু কোনো বেচাবিক্রি নেই। কেজি ৯৫ টাকার পেঁয়াজ দুদিন পর গতকাল ৫০ টাকা দিয়েও ক্রেতা মিলছে না। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে যেহেতু এসেছে দাম স্থির হবে। এরপরই খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসবেন।
এসএ