
বক্তব্য রাখছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানের প্রতি বাঙালির মোহ ভঙের সাথে সাথে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার বীজ বপন হয়। ১৯৭১ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে সেই বীজ থেকেই বাংলাদেশ নামক বিশাল মহিরোহের উত্থান হয়। এই উত্থানের প্রতিপক্ষ অপশক্তি কখনও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেনে নিতে পারেনি। তাদের পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে ডুবিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধারাবাহিক ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের সকল সফলতা ও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছেন। আজ সমস্ত অসাধ্য সাধন হয়েছে এবং অসম্ভব সম্ভব হয়েছে, পদ্মা সেতুই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সকল সংকীর্ণতা ও ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে আগামী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে দলের ভিত্তি মজবুত করতে হবে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নে অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দিন রাত মিথ্যাচার এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভোগে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ ঘরের দরজায় দুষ্টু সাপ যেকোন সময় বিষ ফণা তুলতে পারে। ছোবল দেওয়ার আগেই ওই ফণার মস্তক অবনত করাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি অপশক্তি বেশি অরাজকতা ও নাশকতার মহড়া দিচ্ছে। জনগণের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই। এদের জন্ম ক্যান্টমেন্টে। তাই এদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এরা অতীতে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসেছে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়েছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করা দেশপ্রেমিক জনগণের নৈতিক দায়িত্ব।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু আত্মমর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক। বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সাহসী নেত্রী হিসেবে তিনি বিশ্বনন্দিত এবং তিনি প্রমাণ করেছেন কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাঙালি জাতিসত্তার মহতী অর্জন আওয়ামী লীগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ মানেই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ সমশের, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান বুলু, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আবদুল লতিফ টিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মানিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ লোকমান, মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপিকা সায়েরা বানু রুশ্মি।
সভায় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, জহুর আহমেদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জোবায়রা নার্গিস খান, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষান চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, দোস্ত মোহাম্মদ, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরীসহ নগরীর বিভিন্ন থানা ও সাংগঠনিক ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য-বাজনা নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
এইচবি/এসএ