
নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়িতে সমাবেশ মঞ্চ ভেঙে যায়
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সমাবেশে মঞ্চে দাঁড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এতে কেউ গুরুতর আহত না হলেও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ সরওয়ার নিজামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া সমাবেশের শুরু থেকে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ছিল না। বেশিরভাগ নেতা-কর্মীর মুখে ছিল না মাস্ক।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কর্ণফুলী থানার সিডিএ আবাসিক মাঠে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য চলাকালে হাতাহাতি ও শৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া নিয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই দুই পক্ষ অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে মারামারিতে জড়ায়। এসময় বিএনপির এক নেতা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তবে সমাবেশে হাতাহাতি ও মঞ্চ ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘দক্ষিণ জেলার আজকের সমাবেশ বাঁধ ভেঙেছে সরকার পতন আন্দোলনের। কিছুতেই জনগণকে আটকে রাখা যাবে না। এত লোকের সমাগম মঞ্চ তো ভাঙবেই। আন্দোলন বন্ধ হবে না, চলতে থাকবে। ওমিক্রনের কথা বলে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।’
বিএনপি দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক।
সমাবেশে কেন্দ্রীয়সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ৩টায় নগরের কালা মিয়া বাজার কেবি কনভেনশনে মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ আয়োজিত হয়। এই সমাবেশেও নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার সময় বিশৃঙ্খলার কারণে হঠাৎ মঞ্চটি ভেঙে পড়ে।
এসবি/এসএ