
হারিছ চৌধুরী
বিএনপির দাপুটে নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও। যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মারা যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তার পরিবারের লোকদের কাছ থেকে। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে তিনি মারা গেলেও পরিবারের সদস্যরা এতোদিন বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
তবে মঙ্গলবার তার চাচাত ভাই আশিক চৌধুরী ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি স্ট্যাটাস দেয়ার পর হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হয়। আশিক চৌধুরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। নিজের ছবির সঙ্গে হারিছ চৌধুরীর একটি ছবি যুক্ত করে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন। এরপর স্ট্যাটাসের নিচে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন লিখে কমেন্ট করতে থাকেন।
আশিক চৌধুরী জানান, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি হারিছ চৌধুরী লন্ডনে করোনা আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। কয়েকদিন পর তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। করোনার ধকল সাময়িক কাটিয়ে উঠলেও তার ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর ছোট ভাই এমরান আহমদ চৌধুরী মারা যান। এর কয়েক দিন আগে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হারিছ চৌধুরী। হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ তার মেয়ে মুন্নু চৌধুরী ফোনে দেশে জানিয়েছেন বলে জানান আশিক চৌধুরী। জানা গেছে, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে থাকতেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন।
কেডি