
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বর্তমান সরকারের আমলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সত্য কথা বলার জন্য অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর নির্যাতন-দমন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উদ্যোগে প্রয়াত কয়েকজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের স্মরণসভায় রিজভী এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকার করেছে। এটা একটা জুলুমের আইন। এই আইনে বিরোধী মতের লোক যদি মামলা করে দেখবেন যে সকালে মামলা নেবে, বিকালে বলবে যে মামলা খারিজ করে দিয়েছেন কোর্ট। আর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যদি বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে দেখবেন সেই মামলা প্রথম থেকে সুন্দর প্রক্রিয়ায় চলবে। বিএনপির সেই লোকটিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, আদালতে হাজির করবে, কারাগারে পাঠাবে, তারপর জামিনের জন্য তার আইনজীবী বারবার আবেদন করবেন—জামিন দেবে না। অনেক দিন, ছয় মাস, এক বছর, দেড় বছর পর হয়তো সে মুক্তি পাবে।
দেশের বর্তমান অবস্থাকে ‘ভয়ঙ্কর শ্বাসরুদ্ধকর’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে কথা বলা যায় না, বাক্স্বাধীনতা নেই। ডানে-বাঁয়ে সব সময় তাকাতে হয় কেউ আমাকে অনুসরণ করছে কি না বা আমি কারও দ্বারা অনুসরিত হচ্ছি কি না।'
সরকারের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র চায় ও মুক্তকণ্ঠে কথা বলতে চায়, তারা প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে আপনার পদত্যাগ চান। আপনার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হবে কেন? এই রক্তপিপাসু সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে যদি ষড়যন্ত্র হয়েও থাকে, এই ষড়যন্ত্র ন্যায়সঙ্গত বলে আমি মনে করি।’
আরসি