
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের উৎস বের করতে ‘ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি’ করা হয়েছে।
গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) চিকিৎসকরা এ পরীক্ষা করে তার ক্ষুদ্রান্ত্রের নিচে রক্তক্ষরণের নতুন উৎস খুঁজে পান। তবে শারীরিক জটিলতার কারণে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এন্ডোস্কোপি করতে পারছেন না তারা। এ কারণে রক্তক্ষরণের উৎসও বন্ধ করা যায়নি।
মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, দুইদিন ধরে থেমে থেমে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান, এটি ক্যামেরাযুক্ত ক্যাপসুল, মুখে খাওয়ানো হয়। ওই ক্যাপসুল শরীরের ভেতরে প্রবেশ করেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিরচিত্র তুলতে থাকে, যা কম্পিউটারে দেখতে পান চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর এন্ডোস্কোপি ও কোলনস্কোপি করে রক্তক্ষরণের কিছু উৎস বন্ধ করা হয়।
বড় ধরনের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি এড়াতে খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। তারপরও থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিডনির সমস্যা থাকায় ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শরীরের ব্যথা ‘অসহনীয়’ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, সেই প্রযুক্তি আমাদের দেশে নেই। তাই তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠালে সুচিকিৎসা সম্ভব।’
মহানগর নিউজ/আরসি