বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

| ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৬:২৮, ৩০ মে ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশের সময়: ১৬:২৮, ৩০ মে ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

আর্থিক অনিয়ম, খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণসহ নানা অভিযোগে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আবু তৈয়ব। তিনি নগরের হামজারবাগ এলাকার রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।  

মঙ্গলবার (৩০ মে) তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. তালেব আলী।

সোমবার সভাপতি স্বাক্ষরিত ওই শিকক্ষকে পাঠানো সাময়িক বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, ৮ মে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে বিদ্যালয়ের একজন সচেতন অভিভাবক আপনার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক অনিয়ম, বিধি-বহির্ভূতভাবে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ এবং আরো নানাবিধ অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।  সোমবার এই তদস্ত কমিটি তদন্ত করতে আসলে আপনি আমার সামনে তদন্ত কমিটির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং তদন্তকাজে বাধা প্রদান করেছেন। গত ২৩ মে আমার পাঠানো নোটিশ গ্রহণ করেননি।  

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আপিল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটির ২০০৫ সালের ৭ মে তারিখের ১৭তম সভার ১২নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে বরখান্ত হয়েছেন এবং ওই বরখান্ত আদেশ এখনও বলবৎ আছে। তাই আপনার চাকুরীর বৈধতা নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিকৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করেছেন এবং নষ্ট করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

বরখাস্তের আদেশ ৩০ মে থেকে কার্যকরের কথা উল্লেখ করা হয় ওই আদেশে।

এদিকে গত ২৮ ও ২৯ মে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন দুই শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের থেকে প্রধান শিক্ষক ঘুষ হিসেবে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে নিয়োগের সময় ওই দুই শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া গেলো ২৬ মে দুজনকেই আরো ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা না দিলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের বিষয়ে রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. তালেব আলী বলেন, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হযেছে। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আপিল ও আরবিটেশন বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বহিস্কৃত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন।

বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, চারমাস আমি চাকরি করছি। চাকরিতে যোগদানের সময় প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরপর আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। ১৫ দিনের মধ্যে সে টাকা দিতে বলেন। যদি এসময়ে দিতে না পারি আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার হুমকি দেন। পরে বাধ্য হয়ে আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করি।  

আর্থিক অনিয়ম ও খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আবু তৈয়বের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এসএ