
মুমিনুল হক
'আব্বু এখানে আগুন ধরেছে' প্রথম কলে বাবাকে এই কথাটা জানিয়েছিলেন সীতাকুণ্ডের ডিপোর বিস্ফোরণে মারা যাওয়া মুমিনুল হক (২৪)। এর ৫ মিনিটি পরেই বাবাকে কল দিয়ে বলেন,'আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিও,আমার একটা পা আমি হারিয়েছি'।
রবিবার (৫ জুন) দিবাগত ভোর ৪ টায় পুত্র শোকে এভাবেই হাসপাতালে বিলাপ করতে থাকেন মাস্টার ফরিদুল হক। নিহত মুমিনুল ঐ ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলো। নগরীর হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজে মাস্টার্সের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলো সে।
মুমিনুলের বন্ধু মাহমুদুল ইসলাম অনি মহানগর নিউজকে বলেন,সবসময় সে আমাদের সাথে হাসিখুশি ভাবে কথা বলতো। পেশাগত কারণে সে তেমন ক্লাস করতে পারেনি। তবে সবার সাথে তার যোগাযোগ ছিলো। কোথা থেকে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
মুমিনুলের চাচা খোরশেদ আলম মহানগর নিউজকে বলেন,সে আমাদের পরিবারের খুব আদরের ছেলে ছিলো। আমরা সবাই তাকে খুব আদর করতাম। সব সামাজিক কর্মকাণ্ডে সে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতো। বাড়িতে এলেই চাচ্চু বলে জড়িয়ে ধরতো। তার মৃত্যুর খবর শুনে আমরা সবাই জ্যান্ত হয়েও মরে আছি। আমাদের ঘরের সন্তানকে এভাবে হারাবো ভাবতেও পারিনি।
আইসি/কেডি