সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩

| ১৬ আশ্বিন ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৫:২৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ফখরুলের মিথ্যাচার দেখে রাজনীতিবিদ হিসেবে লজ্জিত’

প্রকাশের সময়: ১৫:২৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ফখরুলের মিথ্যাচার দেখে রাজনীতিবিদ হিসেবে লজ্জিত’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বিরুদ্ধে কোনো চিঠি দেননি বলে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়ার কপি আমরা গণমাধ্যমের সামনে দেখালাম এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিলাম। এরপরে কিন্তু তাদের কোনো জবাব নাই। এইভাবে একটি দলের মহাসচিব মিথ্যাচার করতে পারে সেটি দেখে এবং শুনে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি নিজেও সত্যি লজ্জিত।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বড় গুণ হলো তিনি আস্থার সাথে অবলীলায় মিথ্যা কথা বলতে পারেন। আমরা যখন বললাম, ফখরুল সাহেব দেশে সাহায্য বন্ধ করার জন্য দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে দেশদ্রোহিতামূলক কাজ করেছেন। তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বিরুদ্ধে কোনো চিঠি দেননি বলে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করেন।
 
মন্ত্রী বলেন, যে রাজনৈতিক দল একটি গণসংগঠন, জনগণের ওপর নির্ভরশীল, সে রাজনৈতিক দল নির্বাচন ব্যতিরেকে টিকে থাকতে পারে না, বেঁচে থাকতে পারে না। বিএনপি নেতারা সেই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারছেন বলে আমার মনে হচ্ছে না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে কিংবা যে রাজনৈতিক দলকে জনগণের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হয়, সে রাজনৈতিক দল নির্বাচন ছাড়া টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি যেই ভুলটি করেছে সেটি তাদের আত্মহননের মতো। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সরকার সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু ওনারা তো সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছেন কোনো নির্বাচনে যাবেন না। এভাবে ‘না’ বলতে বলতে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়- সেটাই আমার প্রশ্ন।

মন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বে থাকলে অবশ্যই সমালোচনা হবে। আম পাকলে গাছে ঢিল পড়বেই, যেখানে আম পাকে না সেখানে ঢিল কেউ মারে না। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধ এবং বধিরের মত না হয়। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও যেন করা হয়। এই সরকার সাংবাদিকদের জন্য কি করেছে, কি করে যাচ্ছে, অতীতে এটি হয়েছে কিনা সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেন। সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব দেখা হয়নি। যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তারা পেয়েছেন। আমরা মনে করি সমালোচনা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কল্যান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহিদুল আলম ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমূখ। 

অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ১০৪ জন সাংবাদিকের মাঝে সহায়তার চেক তুলে দেন।

এইচবি/এসএ

সম্পর্কিত বিষয়: