
প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামে ২০২১ সালের শেষ তিনমাস সংক্রমণ হার ১ থেকে ২ শতাংশের কাছাকাছি থাকলেও নতুন বছরে জানুয়ারিতে সংক্রমণ ৪০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি থেকেছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছিল। ২০২১ সালে জানুয়ারিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬২৪ জন আর মৃত্যু ১০ জনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৭০৮১ জন আর মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
এদিকে কয়েক সপ্তাহের আগের চেয়ে রোগী শনাক্তের হার কমে রোগীও কমছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ৬ দিনে শনাক্ত রোগী সংখ্যা তিন হাজার ৩’শ জন। অথচ ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট শনাক্ত রোগী সংখ্যা ছিল ১৯২৩ জন।
আশার কথা হচ্ছে, জানুয়ারিতে সংক্রমণ ঊধ্বমুখী থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপট কমছে। শনাক্ত হার কমে কমেছে রোগী।
চিকিৎসকরা বলছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বেড়েছিল। ওমিক্রনের ধরনটা হচ্ছে, এমন দ্রুত বাড়বে, দ্রুত কমবে। একই সঙ্গে প্রাণঘাতী ডেল্টাও সক্রিয় রয়েছে। তবে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এদিন করোনায় মৃত্যুবরণ করেনি কেউ। ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামে ৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২৮২ জন মহানগর এলাকার ও ৮৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪ জন।
এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৮৯ হাজার ৬৬০ জন এবং উপজেলায় ৩৩ হাজার ৩৮৬ জন। এছাড়া মোট মৃত্যুবরণ করা ১ হাজার ৩৫৯ জনের মধ্যে ৭৩৪ জন মহানগর এবং ৬২৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
কেডি