
নগরীর কাজীর দেউড়িতে মঈনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে খুনের ঘটনায় কিশোর গ্যাং লিডার ফয়সাল হোসেন বাবু ওরফে পিস্তল বাবুসহ (২৪) তিন জনকে আখাউড়া সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সীমান্ত দিয়ে সে দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
শনিবার (১১ জুন) বিকাল ৩টায় তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর গ্যাং লিডার বাবু দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিয়ে আখাউড়া সীমান্তে এসে লুকিয়ে ছিল। পুলিশের গোয়েন্দা টিম খবর পেয়ে তাকে সেখানে গিয়ে গ্রেফতার করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে রাত ৯টায় কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির মহানগরনিউজকে বলেন, তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে আমরা বিস্তারিত জানাব।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ভোরে কাজীর দেউড়ির ২নং গলি এলাকায় খুন হন মঈনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা আরেকজন, মোবারক ওরফে সজীবকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়। পুলিশ বলছে, পূর্ব শত্রুতার জের ও বাণিজ্য মেলায় কাপড়ের দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা মহানগরনিউজকে অভিযোগ করে বলেন, রফিক ও বাবু, এই দুই ভাইয়ের মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ আমরা। মাঝে মাঝে ছিনতাইও করে তারা। মোবারকের কাছ থেকেও একাধিকবার চাঁদা চেয়েছিল বাবু। বাণিজ্য মেলায় দোকান দেওয়া ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মঈনুদ্দিন ও মোবারককে ছুরিকাঘাত করে বাবু ও তার সহযোগীরা।
তিনি বলেন, পিস্তল বাবুর অধীনে একাধিক কিশোর গ্যাং আছে। তার মধ্যে এফআই গ্যাং দিয়েই সে তার চাঁদাবাজি, মারামারি ও ছিনতাইয়ের কাজ চালাত। পুলিশের তালিকাতেও এই দুই ভাইয়ের নাম আছে বলে শুনেছি।
আইসি/জেডএইচ