
পুষ্টিগুণে ভরপুর রসালো ফল আম। আম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে বর্তমানে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি বেশি হওয়ায় মানুষ দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন আম খাওয়ার বিষয়ে। অনেকেই ভাবেন আম খেলে ওজন বাড়ে। কেউ কেউ মনে করেন আম খেলে প্রচুর ঘুম হয়, তাই ওজন বেড়ে যায়। এই ধারণাগুলো কি সঠিক? জানাচ্ছেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা।
আম খেলে ওজন বাড়ে কি?
পরিমিত আম খেলে ওজন বাড়ে না। বরং আমে থাকা পলিফেনল নামক ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফ্যাট বার্ন করে যা ওজন কমায়। আম খেলে ওজন না বাড়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে এতে থাকা খাদ্যআঁশ। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ আছে, কিন্তু এর ক্যালরিমূল্য কম। তাই আমকে স্ন্যাকস হিসেবে রাখলে পেট ভরা থাকবে। এতে অন্যান্য ক্যালরি বহুল খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হবে।
আম কখন ওজন বাড়ায়?
যখন কোনও ব্যক্তি সুষম উপায়ে খাবার খাবেন, তখন তিনি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুটি আম রাখতে পারেন। এর বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়। পাশাপাশি আমে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফেন রয়েছে যা ঘুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। দিনের বেলার ঘুম এমনিতেই আমাদের মেটাবলিক রেট কমিয়ে দেয় যা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আম খেলে ওজন বাড়বে যদি কেউ প্রক্রিয়া করে খায়। যেমন আমের শরবত, স্মুদি, আমের আইসক্রিম বা চাটনি বানিয়ে খেলে বাড়তি চিনিযুক্ত হবে এবং প্রভাব পড়বে ওজনে।
কীভাবে খাবেন আম?
সকালের নাস্তায় ওটসের সঙ্গে মিলিয়ে খেতে পারেন পাকা আম। ডেসার্টের বিকল্প হিসেবে খাদ্যতালিকায় আম রাখতে পারেন। শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরে আম খাওয়া যেতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে ১০৭ ক্যালরি। ফলে কেউ ডায়েট করলে বা ক্যালরি মেপে খেলে দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিলে ভালো করবেন। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা রাতের খাবার খাওয়ার একঘণ্টা পর একটি আম খেতে পারেন।
এসএ