সোমবার ০৫ জুন ২০২৩

| ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৫:১১, ৩ মে ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশের সময়: ১৫:১১, ৩ মে ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

ছবি সংগৃহিত

পাকা আমের জন্য আমাদের সারা বছরের প্রতীক্ষা থাকে ঠিকই, তবে তার আগে কাঁচা আমের স্বাদ নিতেও ভুল করি না। তীব্র গরমে কাঁচা আমের স্বাদ আমাদের এনে দিতে পারে স্বস্তি। কাঁচা আমের শরবত, চাটনি, আম দিয়ে ডাল, ভর্তা, আম পান্না আরও কত পদ তৈরি করে খাওয়া হয়। তবে শুধুই কি স্বাদ? কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

গরমের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে কাঁচা আম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আমে থাকে পটাশিয়াম যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রতি একশো গ্রাম কাঁচা আমে থাকে ৪৪ ক্যালরি পটাশিয়াম, ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম।

জেনে নিন কাঁচা আম খাওয়ার আরও কিছু উপকারিতা

​ওজন কমাতে সাহায্য করে— ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন এমন যে কারও জন্য উপকারী একটি ফল হতে পারে কাঁচা আম। পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমে ক্যালরি অনেক কম থাকে। যে কারণে ওজন কমানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার হজমে সাহায্য করে কাঁচা আম। এটি অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী এই কাঁচা আম। এই আমে থাকে গ্যালিক অ্যাসিড যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।

শরীর ঠান্ডা রাখে— গরমে রোদের প্রখর তাপের কারণে শরীর ঠান্ডা রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই ফল হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। কাঁচা আম আমাদের শরীরের সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ কার্যকরী। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। ফলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও কমে আসে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়— ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা আম নানাভাবে শরীরের উপকার করে। এসব উপাদান আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য উপকারী একটি ফল হতে পারে কাঁচা আম। এছাড়া লিভার ভালো রাখতেও কাজ করে এই ফল। কাঁচা আম চিবিয়ে খেলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এটি অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর করতেও কাজ করে।

ত্বক ও চুল ভালো রাখে— কাঁচা আম খাওয়ার আরেকটি উপকারিতা হলো এটি আমাদের ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাজ করে। গরমে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। আপনি যদি কাঁচা আমের জুস তৈরি করে খান তাহলে তার মাধ্যমে এই ঘাটতি দূর করা সম্ভব হতে পারে। কাঁচা আমে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে এটি খেলে তা ত্বক ও চুল উজ্জ্বল রাখতে কাজ করে।

ঘামাচি দূর করে— গরমের সময়ে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। কারণ কাঁচা আমে থাকা কিছু উপকারী উপাদান ঘামাচি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। কারণ যত উপকারীই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।

এসএ