সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩

| ১৬ আশ্বিন ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
০৭:৩৩, ৬ আগস্ট ২০২২

মহানগর ডেস্ক

কোলন ক্যান্সার কেন হয়, হলে করণীয় কি?

প্রকাশের সময়: ০৭:৩৩, ৬ আগস্ট ২০২২

মহানগর ডেস্ক

কোলন ক্যান্সার কেন হয়, হলে করণীয় কি?

প্রতীকী ছবি

কোলন ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। সাধারণত বয়স ৫০ পেরুলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে ইদানিং অনেক তরুণরাও কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে কোলন ক্যান্সারও ভালো হয়।
তবে তার আগে আমাদের জানা জরুরি, কোলন ক্যান্সার কেন হয় এবং হলে করণীয় কি? চলুন তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

কোলন ক্যান্সারের কারণ

পরিবেশ ও জিনগত কারণে বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পায়। খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

দীর্ঘস্থায়ী আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ

বংশগত কারণে জিনের পরিবর্তন হতে পারে যা পরবর্তী সময়ে কোলন ক্যান্সারকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া কারো রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়-পরিজন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতিতেও হয়ে থাকে।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ:

এক. তীব্র পেটব্যথা

দুই. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

তিন. পেটের ভেতর থেকে খাবার উগড়ে আসা

চার. পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া

পাঁচ. হঠাৎ ওজন হ্রাস

ছয়. রক্তশূন্যতা

সাত. জন্ডিস

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ:

নিয়মিত ভিটামিন, মিনারেলযুক্ত খাবার গ্রহণ

খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখা

মদ্যপান না করা

ধূমপান পরিহার করা

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা

রোগ নির্ণয়ের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো।

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা:

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা এক-কথায় অপারেশন। অপারেশনের আগে বা পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। অপারেশনের সময় রেডিওথেরাপির ব্যবহার এখনও গবেষণাধীন। যে কোনো ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি শব্দ বিশ্বে বহুল প্রচলিত, তা হল (multidisciplinary approach), অর্থাৎ সার্জন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট, প্যাথলজিস্ট, ক্যান্সার কেয়ার নার্সসহ সকলের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের জন্য।

একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে, ক্যান্সার কঠিন রোগ হলেও এর উপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে। রোগীদের সচেতনতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই একুশ শতকেও মানুষ বাংলাদেশে হাকিম, কবিরাজ, ঝার-ফুঁকের উপর বিশ্বাস করছে, যেখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা রয়েছে।

চিকিৎসা ব্যয় সরকারি হাসপাতালগুলোতে অত্যন্ত কম। রোগীদের প্রতি অনুরোধ যে কোনো রোগ সম্পর্কে পরিচিত জনের পরামর্শ না নিয়ে নূন্যতম এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার সচেতনতা রোগটিকে প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
 

কেডি