
'চাচ্চু, আমি পিকনিকে যাচ্ছি, দোয়া করো।’
সকালে বন্ধুদের সঙ্গে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যাওয়ার সময় চাচাকে সর্বশেষ এই কথাটিই বলেছিলেন মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত স্কুলছাত্র মুসাদ আহমেদ ইমাম (১৭)।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফ্লোরে বসে ভাতিজা মুসাদের সঙ্গে সর্বশেষ আলাপচারিতার কথা মহানগরনিউজকে বলেন তার চাচা আকবর হোসেন মানিক। নিহত মুসাদ হাটহাজারীর ৬নং চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের মৃত মোজাফফর আহমেদের ছেলে।
মেডিকেলের ফ্লোরে বসে আকবর হোসেন মানিক বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর মুসাদকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। ওর মা কানাডায় থাকেন। ওকে কখনও মা-বাবার অনুপস্থিতি বুঝতে দিইনি। আমি এখন কী করব? কাকে রাতের বেলা মুসাদ বাবা বলে ভাত খেতে ডাকব। তার মাকে আমি কী জবাব দিব?
মুসাদের আরেক চাচা মোহাম্মদ হোসেন মহানগরনিউজকে বলেন, দুপুরে আমাদের কাছে কল আসে আমার ভাতিজা ও তার সহযাত্রীদের বহনকারী গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। সবাইকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে এসে যারা আহত হয়েছে, তাদের মাঝে মুসাদকে খুঁজি। কিন্তু পাইনি। পরে জানতে পেরেছি সে মারা গেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মিরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিহত হন। বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। নিহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।
আইসি/জেডএইচ