
পশুর বর্জ্যে ধুরুং খালের করুন দশা। ছবি- প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ডেইরি ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এসব বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে ধুরুং ও হালদা নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে ধুরুং ও হালদার জীববৈচিত্র। এসব বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা মা মাছের অভয়াশ্রম।
উপজেলার সুন্দর পুর ইউনিয়নের কাজিরখীল এলাকার পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এসব বিষাক্ত বর্জ্যের দুর্গন্ধ। ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। গ্রামের বসতবাড়ির লোকজন বর্জ্যের দুর্গন্ধে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ কাজিরখীল গ্রামের জনৈক ইউছুফের মালিকানাধীন ডেইরি ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্য বিশেষ কায়দায় ফেলা হচ্ছে বাড়ির পাশের মরা ধুরুং খালে। এসব বর্জ্য পানির সাথে মিশে ধুরুং খাল হয়ে পড়ছে হালদা নদীতে। বাসা-বাড়িতে ডেইরি ফার্ম করার নিয়ম না থাকলেও বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করছেন না তিনি। নিয়ম নীতি না মেনেই বাড়ির অঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন ডেইরি ফার্ম। যাতে রয়েছে অন্তত ১৫টিরও বেশি গবাদি পশু।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চতুর্দিকে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ফার্মটি। ফার্মের গবাদি পশুর বর্জ্য পাইপ দিয়ে ফেলা হচ্ছে বাড়ির পাশেই মরা ধুরুং খালে। বর্জ্যগুলো খাল হয়ে মিশেছে হালদায়। বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আশপাশের বাসা-বাড়িতেও টিকা যাচ্ছে না দুর্গন্ধে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সুমন বলেন, ইউছুফের ডেইরি ফার্মের বর্জ্য খালে পড়ে জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে জানি। কিন্তু আইনি সীমাবদ্ধতা থাকায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেইরি ফার্মের মালিক ইউছুফ বলেন, ডেইরি ফার্মের পরিবেশগত কোন ছাড়পত্র নেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এটি করা হয়েছে। জায়গার অভাবে অস্থায়ীভাবে বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়দের সমস্যা হলে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসএ