বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

| ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৫:৪৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

বাঁশখালী প্রতিনিধি

ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন, ঈদের পরেই গোলা ভরবে পাকা ধানে

প্রকাশের সময়: ১৫:৪৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

বাঁশখালী প্রতিনিধি

ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন, ঈদের পরেই গোলা ভরবে পাকা ধানে

উপজেলার পশ্চিম শীলকূপ বিলে বোরো ধানের সবুজ হাসি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ। বসন্ত বাতাসে বোরো ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে।  ধানের শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হয়েছে। কিছু কিছু ধান ক্ষেতে ধরেছে সোনালী রঙ। কিছু কিছু এলাকায় আগাম চাষ করা সোনালী ধান ঘরে উঠতে শুরু করেছে। তবে রমজানের পরপরেই পুরোদমে সোনালী ধান কাটা শুরু হবে- এমনটি জানিয়েছেন উপজেলার চাষীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, বৈলছড়ী, কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, কাথারিয়া, ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরল ও পৌরসভার জলদী এলাকায় বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে। অল্প কয়দিন পরেই ধান কাটা শুরু করবে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১১ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, উফশী জাতের ৬ হাজার ১০০ হেক্টর। এ বছর মোটা ধানের ফলন ৮.৫ মেট্রিক টন, চিকন ধানের ফলন ৬.২ মেট্রিক টন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার ১১ হাজার ৭৫০ জন প্রান্তিক কৃষককে বোরো প্রণোদনা ও ৩ হাজার কৃষককে আউশ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

রমাজানের পরপরই পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে উপজেলাজুড়ে। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। বোরো মৌসুমকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখে এ অঞ্চলের চাষিরা। এবছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। সার, বীজ ও বালাইনাশক সংকট ছিল না। ফলে ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদের পরেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু করবে কৃষকেরা। তখন পূরণ হবে তাদের স্বপ্ন।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সালেক জানান, চলতি মওসুমে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে টিমভিত্তিক কাজ করেছি। কৃষকদের নানা সহায়তার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছি। এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। রমজানের পরপরই পাকা ধান মাড়াইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু হবে।

এসএ