
নিখোঁজ গৃহবধূ রিপা আক্তার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রিপা আক্তার (২১) নামে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ১১ দিন ধরে নিখোঁজ। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বামীর অভিযোগ, স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়েছে তার স্ত্রী। তবে গৃহবধূর পরিবারের দাবি তাকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই গৃহবধূর খোঁজ মেলেনি।
নিখোঁজ গৃহবধূ রিপা আক্তার উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের পূর্ব কোদালা মোহাম্মদপুর ৮নং ওয়ার্ড এলাকার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি তিনি তার কর্মস্থল খাগড়াছড়ির মহালছড়ির এপিবিএন-এ কর্মরত ছিলেন। তার বড় ভাই তাকে মুঠোফোনে জানান তার স্ত্রীর চলে গেছে। পরে ঘরে এসে জানতে পারেন ১৪ জানুয়ারি রাতে সবার অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে তার স্ত্রী। যাওয়ার সময় নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, রাত আড়াইটার দিকে কয়েকটি ব্যাগসহ আমার স্ত্রীর চলে যাওয়ার দৃশ্য সড়ক পথে একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। ফেরিঘাটে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সেদিন রাত আড়াইটার পর সাইফুল্লাহ নামে এক সাম্পানওয়ালার সাম্পানে তিনজন ছেলের সাথে কর্ণফুলী নদী পাড় হয়েছেন। সম্ভবত কোন পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে সে অন্যত্র পালিয়ে গেছে।
সাম্পান মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, রাত আড়াইটার দিকে দুইজন লুঙ্গি পড়া এবং একজন প্যান্ট পড়াসহ মোট তিনজন এসে বলেন, তার বোন নদীর ওপারে এসেছেন। দাদী মারা গেছেন, তাই তাকে আনতে এসেছেন। আমাকে আসা-যাওয়া ভাড়াতে নিয়ে গেছে। মেয়েটি নৌকায় ওঠার পর কান্নাও করছিল।
রিপার শ্বশুর জাকির হোসেন বলেন, গত দুই বছর আগে আমার ছেলের আপন মামাতো বোন চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকার মোহাম্মদ সেকান্দরের মেয়ে রিপা আক্তারকে বিয়ে করিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকে তাদের কোন পারিবারিক সমস্যা ছিল না। তবে সে প্রায়শই মুঠোফোনে কথা বলতো। জিজ্ঞেস করলে বলতো, আমার ছেলের সাথে কথা বলছে। কিন্তু সে বাইরের কোন এক ছেলের সাথেই কথা বলতো, পরে কললিস্ট বের করে দেখেছি।
এদিকে, রিপার বাবা মোহাম্মদ সেকান্দার বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে সব সময় নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা মেয়েকে খুন করে লাশ গুম করেছে। আমি রোববার রাতে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর নিখোঁজের ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। গৃহবধূর বাবার অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
এসএ