
৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রামগড় চা বাগানে শ্রমিকদের টানা ১৯ দিন কর্মবিরতি ও ধর্মঘট পালনের পর রবিবার (২৮ আগস্ট) কাজে যোগ দিয়েছেন সব শ্রমিক। সকাল আটটায় আনন্দ শোভাযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় বিভিন্ন সেকশনে চা প্লাকিং শুরু করেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ওঁনার হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকরা মজুরি ১২০টাকা থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর গতকাল মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণায় শ্রমিকরা খুশি। সকালে প্রস্তুতি নিয়েই চা কারখানার সামনে সবাই সমবেত হয়। এতদিনের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আন্তরিকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে চা বাগানের আইন অনুযায়ী একজন এমবিবিএস ডাক্তার ও পর্যাপ্ত ওষুধ, সুপেয় পানি, সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন, আবাসন ব্যবস্থা, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা, চাল বা আটার রেশনিংসহ বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান শ্রমিকরা।
জানা যায়, গত ১৯ দিন ধরে রামগড় চা বাগানের ২ নম্বর গেইটে (তালতলা) ঢাকা- খাগড়াছড়ি সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন শ্রমিকরা। একই সঙ্গে বাগানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
চা শ্রমিক শান্তা দেবী বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি পেটের দায়ে। ১২০ টাকায় খাওয়া দাওয়া লেখা পড়া হয় না। ৫০ টাকা বাড়িয়ে এখন ১৭০টাকা মজুরি বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শ্রমিক নেতা মদন রাজগড় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। আজ থেকে আবারও কাজ শুরু হলো। আমাদের দাবি অবশ্যই বাগান মালিকদের মেনে নিতে হবে। যে রেশন, চিকিৎসা, বাসস্থান বাগান কর্তৃপক্ষ দেয়, সেটা পর্যাপ্ত নয়। অনেক ফাঁকি আছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে গত ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করেছেন চা শ্রমিকরা।
এআই