
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন নুরুল আলম (৮০)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পায়নি পরিবার ও এলাকাবাসী।
অবশেষে নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে লেকে ভাসমান অবস্থায় নুরুল আলমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের বাঁশক্দ্রে এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, শুক্রবার সকালে বৃদ্ধের মৃতদেহ বড়ঘোনা এলাকা সংলগ্ন কাপ্তাই লেক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই বাঁশকেন্দ্র এলাকায় বসবাসরত নুরুল আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে গরুর জন্য নৌকাযোগে পাশ্ববর্তী পাহাড়ে ঘাস কাটতে যান। বিকালের মধ্যে ওই বৃদ্ধ বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন পাহাড়ে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে নৌকা ও ঘাস কাটার কাঁচি পাওয়া গেলেও বৃদ্ধাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে একদিন পর কাপ্তাই লেকে ভাসমান অবস্থায় শুক্রবার সকালে বৃদ্ধের মৃতদেহ পাওয়ায়।
কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহিনুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে ঘাস কেটে ফেরার পথে মাথা ঘুরে অথবা স্ট্রোক করে কাপ্তাই লেকের পানিতে পড়ে যাওয়ায় তিনি আর উঠে আসতে পারেনি। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
এআই