
গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব
নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর গরু ব্যবসায়ী মো. আইয়ুবকে (৫৫) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের বাড়ি উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নে। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আইয়ুবের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে গত মাসের ১৯ ডিসেম্বর কাপ্তাইয়ে গরু কিনতে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে চন্দ্রঘোনা হাশেম খাল এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা খোয়া যায়। ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার জ্ঞান ফিরে।
এ ঘটনায় আমার স্বামী আইয়ুব বাদি হয়ে তার ব্যবসায়িক সহকর্মী দিলীপ ঘোষ (৫২) ও তার স্ত্রী সুনিতা ঘোষকে (৪৭) অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছিলেন।
এ ঘটনায় আইনি সহায়তা নিতে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাঙ্গুনিয়া থানায় যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন আইয়ুব। এর মধ্যে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা হয়। কিন্তু এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আইয়ুব সন্ধ্যা ৭টায় থানা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সড়কের পাশে তার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শমতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের অভিযোগ, 'আমার স্বামীকে আগে যারা অপহরণ করেছিল, তারা আবার পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করেছে। আমি থানায় হত্যা মামলা করবো।'
এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব মিল্কি বলেন, 'মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
কেডি