বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

| ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
০৮:২১, ৩ জানুয়ারি ২০২২

কক্সবাজার, প্রতিনিধি

পুলিশি বাধায় ১০ মিনিটে শেষ বিএনপির মহাসমাবেশ 

প্রকাশের সময়: ০৮:২১, ৩ জানুয়ারি ২০২২

কক্সবাজার, প্রতিনিধি

পুলিশি বাধায় ১০ মিনিটে শেষ বিএনপির মহাসমাবেশ 

কক্সবাজারে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মহাসমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। তবে পুলিশের বাধায় সেই মহাসমাবেশ ১০ মিনিটেই শেষ হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য  কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সোমবার  কক্সবাজারে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়।  একই স্থানে যুবলীগও সমাবেশের ডাক দেয়। ফলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। সোমবার ভোর থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রদল, যুবদল, মহিলাদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সকাল ১০টার পর  ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হতে শুরু করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তখনই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে দলটি। সেসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা সকাল পৌনে ১১টার দিকে দলটি মহাসমাবেশ শুরু করে। 

বিএনপির মহাসমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি  বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান,  বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম উপস্থিত থাকলেও  নজরুল ইসলাম খান ও মিজানুর রহমান মিনু বক্তব্য দেন। পরে পুলিশের সমাবেশস্থলের দিকে এগুতে থাকলে দলটি মহাসমাবেশ সেখানেই শেষ করে দেয়। 

কক্সবাজার শহর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশ করেছে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় সমাবেশ শেষ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী নাছিমা আক্তার বকুল বলেন, ৫ ঘণ্টা মহাসমাবেশ ছিল। কিন্তু আমরা পুলিশের বাধায় অতটা সময় থাকতে পারিনি। 

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, মহাসমাবেশ আমরা করেছি। ১৪৪ ধারা ভেঙেছি।  এদিকে মহাসমাবেশ শেষ হলে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী  বিষয়ক ও কক্সবাজার ৩ আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমানের কাজলের শহরের কলাতলী রোড বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা। 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছে। 
 

কেডি