বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

| ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৭:১৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

বান্দরবান প্রতিনিধি 

কেএনএফের জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল বান্দরবানের ছয় জাতিগোষ্ঠী

প্রকাশের সময়: ১৭:১৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

বান্দরবান প্রতিনিধি 

কেএনএফের জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল বান্দরবানের ছয় জাতিগোষ্ঠী

বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলনে পাহাড়ী ছয় জাতিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টসহ (কেএনএফ) কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় দাবি করে পাহাড়ে বসবাসরত ছয় জাতিগোষ্ঠী নিজেদের অবস্থান ষ্পষ্ট করেছে। 

বুধবার (২৮ জানুয়ারি) জেলা সদরের অরুন সারকি টাউন হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজ জাতিগোষ্ঠীর অবস্থান পরিষ্কার করেন ম্রো, লুসাই, খুমি, খিয়াং এবং পাংখোয়া জাতিগোষ্ঠীর শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা। 

এর আগে গত বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড়ের ছয় জাতির সমন্বয়ে কেএনএফ গঠিত হয়েছে বলে সন্ত্রাসী গ্রুপটি দাবি করে আসছিল। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কেএনএফ একটি অগণতান্ত্রিক ও লক্ষ্যহীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। এই সন্ত্রাসী গ্রুপে ম্রো, লুসাই, খুমি, খিয়াং, পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর কেউ জড়িত নয়। পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই পাঁচ জাতি সহজ সরল ও শান্তসৃষ্ট। কেএনএফ সরলতার এই সুযোগে নিজেদের দলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে বলে প্রচার করছে। যা সত্য নয়। 

থানচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ম্রো নেতা খামলাই ম্রো বলেন, এখনও থানচি কেউক্রাডং ও তাজিনডং এলাকায় কেএনএফ এর কিছু সদস্যদের তাৎপরতা রয়েছে। তারা অপহরণ চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে কেএনএফ ও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা রুখে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী ভূমিকা রাখায় বর্তমানে কেএনএফ এর শীর্ষ সদস্যরা মিজোরাম ও মিয়ানমারের চলে গেছে। এই গ্রুপটির যারা এখনও পাহাড়ে রয়েছে তাদের কারণে সাধারণ উপজাতী জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা জীবন-জীবিকা ও অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। 

সাংবাদিক সম্মেলনে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, জেলা পরিষদ সদস্য সিংইয়ং ম্রো, খামলাই ম্রো, লেলুং খুমি, ম্রো ছা খেয়াং সম্প্রদায়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা নিজ জাতিগোষ্ঠীর অবস্থান স্পষ্ট করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা পাহাড়ে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। 

প্রসঙ্গত, গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্ত এলাকায় কেএনএফ ও ইসলামী জঙ্গি তৎপরতা রোধে নিরাপত্তাবাহিনী ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে বান্দরবানে বড় ধরনের কোনো অপহরণ বা খুনের ঘটনা ঘটেনি। 
 

এআই