রোববার ২৬ মার্চ ২০২৩

| ১১ চৈত্র ১৪২৯

KSRM
মহানগর নিউজ :: Mohanagar News

প্রকাশের সময়:
১৫:৪৭, ১৬ মার্চ ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশের সময়: ১৫:৪৭, ১৬ মার্চ ২০২৩

মহানগর ডেস্ক

শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

চিত্রনায়ক শাকিব খান

ঢালিউড কিং শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজক রহমত উল্যাহর আনা অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় এফডিসিপাড়া। বুধবার প্রযোজক-পরিচালক ও ক্যামেরাম্যানদের সংগঠনের পাশাপাশি লিখিত সেই অভিযোগের কপি গেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও। সবাই অপেক্ষায় শাকিব খানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি।

লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।

এ বিষয়ে নিপুণ বলেন, শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি আমরা। বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন, প্রযোজক রহমত উল্লাহ চারটি সংগঠনে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারেন। আগে আমরা দেখব বিষয়টি কী। অভিযোগকারী এবং শাকিব খান —দু’জনের সঙ্গেই কথা বলব আমরা। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে স্পষ্ট হয়ে তবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়।

এ নায়িকা বলেন, আমাদের শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং শাকিব দুজনই বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তারা দেশে এলে অভিযোগ নিয়ে বসব আমরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়নের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এ ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীর মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো। 

সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়, যার মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯। 

সেই ঘটনার সূত্র ধরে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি ও কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারে টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেই দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এর পর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।

এসএ