
নিহত পান্না
পান্না দাশ সুমিকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন স্বামী অনুজ কর্মকার। নিহতের ছোট ভাই সঞ্জয় দাশ এমন অভিযোগ করেন।
গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় ৬তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো পান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই সঞ্জয় দাশ। অনুজের বাড়ি চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকায়। পান্নার বাড়ি নগরীর কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজার এলাকায়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ পান্নার সঙ্গে অনুজের বিয়ে হয়। তারা ঢাকায় বসবাস করতেন। এ দম্পতির ১৪ মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
মামলার বাদি সুমির ছোট ভাই সঞ্জয় দাশ এজাহারে উল্লেখ করেন, ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুমি তার মাকে, রাত ৯টা ২০ মিনিটে ভাই প্রকাশকে এবং রাত ৯টা ২৮ মিনিটে বোন জয়াকে ফোন করেন। সবার সঙ্গেই স্বাভাবিক কথাবার্তা হয় তার। কিন্তু ২ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় অনুজের মা সুমির বাবা স্বপন কান্তি দাশকে ফোন করে জানান, তার মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে গেলে সুমির ভাই প্রকাশকে অনুজ মর্গের সামনে সুমির মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মামলা না করার হুমকি দেন। এর আগে ২০ এপ্রিল মেরে ফেলার জন্য কাঠের লাঠি দিয়ে সুমির মাথায় আঘাত করেন অনুজ।
সঞ্জয় দাশ বলেন, গত ১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টা থেকে পরদিন ভোর ৬টায় মধ্যে আমার বোনকে যেকোনোভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক দিন আমার বোন আমাদের জানিয়েছিল, অনুজ ও তার মা-বাবা নানাভাবে তাকে নির্যাতন করেছেন। মৃত্যুর পর বোনের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে। থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে করেছি। ২৭ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে অনুজ কর্মকার বলেন, পান্না আত্মহত্যা করেছে এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সত্য বেরিয়ে আসবে। কারও সঙ্গে আমার অনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
কেডি